সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: সুন্দরবনে আবারও তৎপর শিকারি আর পাচারকারী চক্র। অবাধে বাঘ আর হরিণ শিকারের কারণে জীববৈচিত্র্যে প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা। তারা কর্তৃপক্ষের নজরদারি ঘাটতিকে দুষলেও বন বিভাগের দাবি, পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযানে ধরা পড়ছে অপরাধীরা।
গত বছরের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত বন বিভাগের হাতে আটক হয় ৩৭ জন শিকারিসহ শতাধিক হরিণ, দুটি বাঘ ও ১৯টি চামড়া। ৩০০ কেজি মাংস ও ১৭ হাজার ৩০০ ফুট ফাঁদও জব্দ করে কর্তৃপক্ষ। তবে নজরদারি এড়িয়ে নানা প্রাণী শিকারের আরও ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, জীবিত উদ্ধার করা হরিণ অবমুক্ত করা হলেও এগুলো আবারও ধরা পড়তে পারে শিকারিদের হাতে। পরিবেশবিদরা মনে করেন, অপরাধীরা জামিনে বের হয়ে আবারও করছে একই ধরনের অপরাধ। কঠোর নজরদারির অভাবে এমনটা হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
সেভ দ্য সুন্দরবনের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদুল আলম বলেন, এসব গডফাদারদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। অন্যথায় সুন্দরবনের বাঘ ও হরিণের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
বন বিভাগের দাবি, আগে এককভাবে টহল ও অভিযান চললেও বর্তমানে পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ চলছে। অভিযান জোরদারের কথা জানান বাগেরহাট পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, এ ধরনের ঘটনায় আমরা ১০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
শুধু আইন প্রয়োগে সফলতা অনেকটাই অসম্ভব স্বীকার করে পুলিশ বলছে, জনসচেতনতা বাড়ালে শিকারিদের অপতৎপরতা রোধ করা সম্ভব।
সিলেট৭১নিউজ/সময়/আবিদ